সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আ.লীগ ১০টি আসনও পাবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। এজন্যই দলটির সাধারণ সম্পাদক বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু। কিন্তু না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি জীবন্ত ইস্যু। সারা বিশ্ব চায় বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। রোববার গাজীপুর মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর তেলীপাড়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়, একটি সন্ত্রাসী দল। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দেয় তারা সন্ত্রাসী ছাড়া আর কিছুই না। তাই তারা নির্বাচন চায় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়টি রাজপথেই ফয়সালা হবে।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, যেখানে মানুষ ন্যায়বিচার পাবে, সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে, গরিব আরও গরিব হবে না, ধনী আরও ধনী হবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমাদের স্বপ্ন তছনছ করে দিয়েছে।

মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম মঞ্জুরুল করীম রনির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তা ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক সাফিন, ডা. মাজহারুল আলম, সাঈদ সোহরাব, আবু আশফাক, কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, মো. মজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, মহানগর বিএনপি নেতা মীর হালিমুজ্জামান ননী, রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম শামীম, সুরুজ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি প্রভাষক বসির উদ্দিন, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাভেদ আহমেদ সুমন, বাসন থানার সভাপতি তানভীর সিরাজ, গাছা থানার সভাপতি মনিরুল ইসলাম বাবুল, কোনাবাড়ী থানার সভাপতি ইদ্রিস আলী, কাশিমপুর থানার সভাপতি খন্দকার আলী হোসেন, পূবাইল থানার সভাপতি মনিরুল ইসলাম বকুল, সদর মেট্রো থানার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক এজিএস সাজেদুল ইসলাম, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি আতাউর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন শাহীন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রুহানুজ্জামান শুক্কুর, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী শিরিন চাকলাদার প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

Leave a Comment

* বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরসেভেন.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।